আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস : বরিশালে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস : বরিশালে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায়

আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস : বরিশালে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায়




অনলাইন ডেস্ক: বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৪টি শিশু বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত। এর প্রায় ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ (১২ লাখ ৮০ হাজার ১৯৫টি শিশু) নিয়োজিত ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।যদিও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

বিবিএসের হিসাবে বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু। পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু রয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার। জনসংখ্যার অনুপাতে শিশুর হার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, প্রায় ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম (২০ দশমিক ৬), রাজশাহী (১২ দশমিক ৫), রংপুর (১১ দশমিক ৩), খুলনা (১০ দশমিক ৫), সিলেট (৬) ও বরিশাল (৫ দশমিক ৩)।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘শিশুশ্রম নয়, শিশুর জীবন হোক স্বপ্নময়’। এ উপলক্ষে শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে।সরকার ২০১০ সালে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি প্রণয়ন করে।

এ নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং শিশুশ্রম নিরসন কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো কাজ করছে।জানা গেছে, মালিক, শ্রমিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে মোট ৩৮টি কাজকে শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব কমিটি। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের জন্য ১৮ মাসব্যাপী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও ছয় মাস মেয়াদি দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এর মাধ্যমে ৯০ হাজার শিশু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবছর শিশু বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে শিশু উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাজেটের মূলধারায় নিয়ে এসেছে। শিশুদের জন্য বরাদ্দ প্রতি বছরই বাড়ছে। সরকারের লক্ষ্য ২০২০ সাল নাগাদ শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বরাদ্দ মোট বাজেটের ২০ শতাংশে উন্নীত করা।

চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে।শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘শ্রমজীবী শিশুদের অভিভাবকদের দারিদ্র্য দূরীকরণে বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের সরিয়ে আনা হবে।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনা হবে। বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োজিত শিশুদের খুঁজে বের করে তাদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের আত্মকর্মসংস্থানে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শিশুশ্রমসংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিং করছে এবং কোনো কারখানা মালিক শিশুদের নিয়োগ দিয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন খাতের কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে শিশুশ্রম নিরসনে জনসচেতনতা বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD